আমার দেখা মালায়ালাম ও কান্নাড়া মুভির তালিকা

মুভিটি ক্রিকেট নিয়ে। একদল যুবক আছে যারা ক্রিকেট ছাড়া কিছু বোঝে না, সারাদিন ক্রিকেট খেলে বেড়ায় তারা। এরকম একজন ক্রিকেট পাগল রামেশান। সে ক্রিকেট পাগল হলেও তার পরিবারের কেউ এটি দুঃচোখেও দেখতে পারে না। তবু সে খেলে! গালি খাওয়ার পরও খেলে। তার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিলো কিন্তু হতে পারে নি। কিন্তু সে আশা ছাড়ে নি। সে ক্রিকেটার হতে পারে নি কিন্তু তার ছেলেকে সে মস্ত বড় একজন ক্রিকেটার বানাবে! Nivin Pauly'র আরেকটি অসাধারণ মুভি। মালায়ালাম ডিরেক্টররা সব টাইপের মুভি বানাতেই ওস্তাদ।

মুভিটা দেখার আগে যদি কেউ আইএমডিবি রেটিং দেখে তাহলে মুভিটা আর কেউ দেখতে চাইবে না। তবে Dulquer Salmaan বা Nazriya Nazim এর যদি ফ্যান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মুভিটি দেখতে চাইবেন আপনি!আমিও এজন্যই দেখেছিলাম। রোমান্টিক কমেডি মুভি হিসেবে মোটামুটি চলে। মুভিটা অতটা ভালো না লাগলেও খারাপ লাগে নি আমার!

Anupama Parameswaran এর নাম দিয়ে গুগলে মুভি খুজতেছিলাম। সেই লিস্টে থেকেই এই মুভির নামটা জানতে পারি। এরপর যখন দেখলাম Dulquer Salmaan ও আছে একই মুভিতে তখন এই মুভি কি আর মিস দেয়া যায়! তবে এরকম মুভি আগে একটা দেখেছিলাম। ওটাও মালায়ালাম মুভি ছিলো। আর ওটাতে ছিলো Nivin Pauly. মুভিটার নাম ছিলো Jacobinte Swargarajyam. বিজনেস করতে যেয়ে সবকিছু হারিয়ে ফেলে আবার নতুন করে ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াইয়ে নামার থিম নিয়েই মুভিগুলো। মুভি গুলো সিম্পল হলেও একধরনের জীবনদর্শন আছে। ধনী কখনো একদিনে হওয়া যায় না, এর জন্য অনেক কষ্ট ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এই মুভিতেই Aishwarya Rajesh কে প্রথম দেখা এবং প্রথম দেখাতেই ক্রাশ! :p

এটি একটি কান্নাড়া মুভি। সিনেমাটি তৈরী হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। কাহিনী মূলত রোড একসিডেন্ট নিয়ে। ব্যাঙ্গালুরু'র একটি ফ্লাই ওভারে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে টেমপোরারি ডিভাইডার তৈরী করা হয়েছিলো দুইদিক দিয়ে যাতাযাত করার জন্য। সেই ফ্লাই ওভার দিয়ে যাতায়াতে করতে অনেকে সময় বাচানোর জন্য ব্লক গুলো সরিয়ে রেখে ইউ টার্ন নেয় উল্টোদিকে আবার যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে কিন্তু ব্লক গুলো যাওয়ার সময় ঠিক করে রেখে যায় না তারা। পরে দেখা যায় যারাই এই কাজ করছে তাদের সবার মৃত্যু হয়। একজন ইন্টার্ন নারী সাংবাদিক এবং পুলিশ অফিসার এই ঘটনার পিছনে কে দায়ী সেটি খুজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু করে কিন্তু তারা কোনো কুল কিনারা খুজে পায় না। শেষে এসে নারী সাংবাদিকটি নিজেই সেই ফ্লাই ওভারে ইউ টার্ন নেয় রহস্য উদঘাটন করতে এবং সে ব্যাখ্যার অতীত একটি জিনিসের মুখোমুখি হয়। মুভিটার প্রথম দিকে বেশ ভালো লেগেছিলো কিন্তু শেষে এসে হতাশ হয়েছি। মুভিটি মধ্যে সাধারণ কোনো লজিক নেই। তারা যেভাবে এটিকে ব্যাখ্যা করেছে সেটা অবাক করার মত। মুভিটির কোন অংশটুকু সত্য ঘটনা থেকে নেয়া সেটা আমি বুঝতে পারি নি যদি পুরোটাই হয় তাহলে এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। কারণ যেই জিনিশের উপর আমাদের হাত নেই সেটি দিয়েই এই মুভির ফিনিশিং টানা হয়েছে। সেটি হলো আত্মা বা অপ্রাকৃত ঘটনা! এরকম এন্ডিং হবে আমার ধারণার বাহিরে ছিলো।